Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কুতুবদিয়া বাতিঘর
স্থান

দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন

কিভাবে যাওয়া যায়

বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে খুব সহজে এবং অল্প খরচে কুতুবদিয়া ভ্রমন করা যাবে। কুতুবদিয়া ভ্রমন অনেকটা “এডভেঞ্ছার” মনে হবে, যারা সমুদ্র ভয় পায়। ঢাকা এবং যেকোন জেলা শহর থেকে এস.আলম বাসে কুতুবদিয়া যাওয়া খুব সহজ,যদিও বাস থেকে নেমে স্পিড বোট এ করে কুতুবদিয়া পৌঁছতে হয়। তাছাড়া নদী পথেও আসা যায়। চট্টগ্রাম থেকে বাস যোগে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট হয়ে কুতুবদিয়া আসতে সর্বমোট খরচ হবে ২৫০-৩০০ টাকা।কুতুবদিয়া উপজেলা সদর হতে জীপ গাড়ী যোগে বাতিঘরে যাওয়া যায়। পর্যটকদের জন্য ডাকবাংলো, সমুদ্র বিলাস সহ বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে থাকা-খাওয়াও তেমন বেশি খরচের না। সবমিলিয়ে অল্প খরচে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার একটি উত্তম জায়গা হতে পারে কুতুবদিয়া।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার জাহাজ চলাচলের উপযোগী করে চট্টগ্রাম নৌবন্দর গড়ে তোলে। প্রাথমিকভাবে দুটি অস্থায়ী জেটি তৈরি করা হয়েছিল। এরও বহ আগে থেকে চট্টগ্রামে জাহাজ চলাচল করতো। এই কারণে ব্রিটিশদের চট্টগ্রাম নৌবন্দর উন্নয়নের বেশ আগে থেকে কুতুবদিয়ায় বাতি ঘর তৈরি করা হয়েছিল।

বর্তমান বাতিঘর

১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে কর্ণফুলি নদীর মোহনার ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়াতে এই বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। ক্যাপ্টেন হেয়ার-এর পরিচালনায় এবং  ইঞ্জিনিয়র জে,এইচ,টুগুড -এর নকশায় এই বাতিঘর নির্মাণ করা হয়। ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে এই বাতিঘরটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেই সময়ে এর নির্মাণ ব্যয় ছিল ৪৪২৮ টাকা।

এই বাতিঘরের ভিত্তিভূমিতে পাথর স্থাপন করা হয় এবং ভিত্তির উপর গড়ে তোলা হয় ১২০ ফুট উচ্চতার টাওয়ার। টাওয়ারটির মাটির নিচে একটি কক্ষ ছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে টাওয়ারে অংশে ছিল ১৫ফুট উচ্চতার ১৫টি কক্ষ। সে সময় প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূর থেকে এর আলো রাতের জাহাজ-নাবিকরা দেখতে পারতো। পাকিস্তান আমলে এই টাওয়ারটি নতুন করে নির্মাণ করা লৌহ কাঠামোর উপর। এই টাওয়ারের প্রাচীন আলোক-উৎপাদন প্রক্রিয়া বাতিল করে আধুনিক পদ্ধতি চালু করা হয়। পরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাকিস্তান আমলেই এই বাতিঘরটি অকেজো হয়ে পড়েছিল। পরে ক্রমাগত সমুদ্রের ভাঙ্গনের মুখে এই বাতিঘরটি বিলীন হয়ে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে একটি নতুন বাতিঘর নির্মিত হয়েছে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে। এই বাতিঘরটি তৈরি করা হয়েছে ইস্পাতের কৌণিক দণ্ড ব্যবহার করে। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র ওয়্যারলেস যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে গেছে।

বর্তমানে ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ করা হয়। এবং ওই ব্যাটারির মাধ্যমে বাতিঘরে আলো জ্বালনো হয়।